সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
জলবায়ুর পরিবর্তনে দুর্যোগ ঝুঁকিতে উপকূলীয় কলাপাড়ায় কৃষি ও জেলে পেশায় ভয়াবহ সংকট | চ্যানেল খুলনা

জলবায়ুর পরিবর্তনে দুর্যোগ ঝুঁকিতে উপকূলীয় কলাপাড়ায় কৃষি ও জেলে পেশায় ভয়াবহ সংকট

শাহ আরাফাত রাহিব :: স্রোতে ভাসা দলছুট কচুরিপানার মতো ভাসতে ভাসতে সুখী বেগমের এখন ঠাঁই হয়েছে মহল্লাপাড়া গ্রামে। ছিলেন রাবনাবাদ পাড়ের ভাঙ্গা বাঁধের স্লোপে, চৌধুরীপাড়ায়। নেই গ্রামটির জনপদ। সব গিলে খেয়েছে রাবনাবাদ নদী। এখন রাবনাবাদপাড়ে সরকারের যতোসব উন্নয়ন। হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ। কিন্তু সুখী বেগম কোন কূল-কিনার পায়নি। পারেনি কোমর সোজা করে দাঁড়াতে। রাবনাবাদ পাড়ের শেষ জমিটুকু সিডরের তান্ডবে ঘরসহ বিলীন হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছিলেন ভাঙা বাঁধের স্লোপের একটি ঝুপড়িতে। তাও আরেক জলোচ্ছ্বাস ‘আইলায়’ বিধ্বস্ত করে দেয়। তিন দফা অবস্থান পাল্টে এখন রাবনাবাদ পাড় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দুরে মহল্লাপাড়ায় এক চিলতে জমিতে বাড়ি করেছেন। প্রকৃতি যেন ঠিকানাই পাল্টে দিয়েছে। জানালেন, গৃহহীন হয়ে ঢাকায় গিয়ে ইট-পাথর ভাঙ্গার কাজ করেছেন। রক্ত পানি করা সংগৃহীত টাকায় এই জমিটুকু কিনেছেন। একটি ঘর করেছেন। তাও এখন জীর্ণদশায়। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। মেরামত প্রয়োজন। কিন্তু সঙ্গতি নেই।

সুখী বেগমের জীবন-সংসারের শ্রী বাড়েনি। তেমনি মেলেনি আর্থিক নিরাপত্তা। কিন্তু দৈন্য বেড়েছে। সংসারের হাল বইয়ে চলা এই গৃহিনী জীবনের সুখ কী বোঝেননি। প্রায় ৩২ বছরের সংসার জীবনের কোন হিসাব মেলাতে পারছেন না। এখন সুখী বেগম প্রায় অচল। বয়সের ভারে নয়, অসুখে। চিকিৎসার যোগানও চলছে না। ‘৭৯ সালে জন্ম নেয়া গ্রামীণ এই নারীর ৪৬ বছরেই চলনশক্তি নেই। জীবনশক্তিও হারাতে চলেছে। দুই দফা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পড়ে আছেন ঘরে। স্বামী-সন্তানদের ধরা হাতের সহায়তায় উঠে বসতে, চলতে হয়। জানালেন, কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। সপ্তাহে এক হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। বললেন হতাশা আর না পাওয়ার অনেক কথা। তা যেন সুখীর দুঃখের সাতকাহন।

স্বামী দুলাল গাজী জানান, ভাগে ট্রলারের কাজে ছিলেন। লোকসানে বাদ দিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ধার-দেনায় ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এখনও সাগরে ছোটেন। আগে রাবনাবাদে মাছ ধরতেন। এখন মাছও নেই। প্রকৃতির রোষাণলে পিষ্ট হয়ে চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থার হাল হয়েছে। নদী গিলেছে ঘর-বাড়িসহ ঠিকানা। জলবায়ূও পরিবর্তন এরা বোঝেন না। বোঝেন ভয়াল রাবনাবাদ সব শ্যাষ করেছে। একই ভাবে নয়াকাটা, চৌধুরীপাড়া গ্রামও বাস্তবে নেই। আছে কাগজে-কলমে।

প্রায় ৩৫ বছর ধরে খুটা জেলে হিসেবে কুয়াকাটা সংলগ্ন অগভীর সাগরবক্ষে ইলিশ শিকার করেন আবু হানিফ মাঝি। তিন জনে মিলে জাল তুলে ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি ও দুইটি জাটকা ইলিশ পেয়েছেন। গতকাল জানালেন, অবরোধের পরে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫-৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ তো দূরের কথা; উল্টো তার ২৪টি জালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটি জালও ঠিকমতো কাজে লাগবে না বলে জানালেন। শুধু রশি আর কিছু ফ্লোট (ভাসা) কাজে লাগবে। জাল নতুন কিনতে হবে। অন্তত ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে তাঁদের। তিনটি সংসারের ভরণপোষণ নির্ভর করে মাছ ধরার ওপর। দাদনের টাকায় সংগৃহীত ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ এই জাল আর নিজেদের তামাটে রঙের শরীরটাই তাঁদের পুঁিজ। আবু হানিফের দাবি, গত চার বছর ধরেই ইলিশের আকাল চলছে। তবে এ বছর তা এখন পর্যন্ত ভয়াবহ মনে হচ্ছে তাঁদের। পেশা নিয়ে মানুষগুলো চরম হতাশা প্রকাশ করলেন। এমন জোয়ার আর ঢেউয়ের চাপ তারা আগে কখনো দেখেননি বলে জানালেন।

একেতো মাছের দেখা মেলে না, তার উপরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে একেক জেলের ১০/১২ থেকে ২০/২২টি জাল ছিড়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেকের জাল-খুটা। গড়ে প্রত্যেকের অন্তত ২০-৪০/৫০ হাজার টাকার জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারও প্রায় লাখ টাকা। এভাবে এখন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরতে নামা আড়াই শ’ খুটা জেলের অর্ধকোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়ে গেছে। এভাবে প্রত্যেক নৌকায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার দাদন নিয়ে মৌসুমের শুরুতেই লোকসানের ধকলে পড়ল ক্ষুদে খুটা জেলেরা। কোন মতো জাল পেতে গড়ে প্রত্যেকে ১০/১২ থেকে সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পেরেছেন। অথচ স্থায়ী ক্ষতির কবলে পড়ল অন্তত অর্ধকোটি টাকার। কম পুজিঁর এসব জেলেরা এখন পেশা নিয়ে সংকটে পড়েছেন। সাগরের বৈরি আচরণে দিশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পেশায় যেন সংকট চলছে।

রশিদ মাঝি জানান, গত চারটি বছর ধরে সাগর নদীর চেহারা তাদের কাছে অচেনা মনে হয়। তিন চার কিলোমিটার ভিতওে ডুবেচর। ঢেউ ভাঙে। পানির চাপ বাড়ছে। এবছর খুব বাজে অবস্থা। একই সর্বনাশার কথা জানালেন, আলআমিন মাঝি, ইউসুফ মাঝি, সুমন শেখ, আলতাফসহ অনেকেই। সুমন মাঝি জানান, পাঁচ জনে মিলে জাল পেতে খালি হাতে ফিরেছেন। তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই। এভাবে মৌসুমের শুরুতেই সহ¯্রাধিক খুটা জেলের সর্বনাশ হয়ে গেছে। অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ধারদেনায় কাহিল হয়ে আছেন। কুয়াকাটা আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজাম শেখ জানান, এখানকার অন্তত ৪৬০ টি খুটা জেলে নৌকায় কমপক্ষে দেড়-দুই হাজার জেলে পরিবার সাগরের অগভীর এলাকায় ইলিশ মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করছেন। সাগরের ঢেউয়ে শতকরা ৯০ জনের জাল ছিড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রত্যেকের ৫০-৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিজাম শেখ জানান, জলবায়ূর পরিবর্তন বুঝি না। এখন দূর্যোগ চলছে। তাদের জেলে পেশায় সংকটকাল চলছে।

একই দশা কৃষকের। কুমিরমারা গ্রামের শতকরা ৯৫ ভাগ কৃষক ১২ মাস ধানের পাশাপাশি সবজির আবাদ করেন। অভিজ্ঞ কৃষক সুলতান গাজী জানালেন, জলবায়ূর পরিবর্তন এখন দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। জানালেন, এই গ্রাম থেকে ফি বছর এই মৌসুমে দৈনিক ৭-৮ টন করলা বিক্রি করতেন। এবছর বিরামহীন আটদিনের বৃষ্টিতে ৭৫ শতাংশ ফলনধরা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এমন টানা বৃষ্টি আগে তারা দেখেননি। নিজেরাই আবার নতুন সবজির ক্ষেত তৈরি করছেন। জলবায়ূর এমন আচরণকে তারা সহ্য করতে পারছেন না বলে জানালেন। বললেন পেশায় যেন নতুন নতুন সমস্যা হচ্ছে । আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পচে গেছে অনেক বীজতলা।
কৃষক সুলতান গাজী জানালেন, ভোরে অসহনীয় গরম। আবার সন্ধ্যায় কখনো ঠান্ডা মনে হয়। এই মূষলধারে বৃষ্টি। আবার এক ঘন্টা পরে একটু রোদ কিংবা প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। অসুখবিসুখ তো লেগেই আছে। আবহাওয়ার এমন আচরণ তারা বুঝতে পারছেন না। না পারছেন সহ্য করতে। তার ভাষ্য মোরা গেলাম, ‘ নতুন ছেলেপানের ভবিষ্যত কী, বুঝতে পারছি না।’

জলবায়ূর পরিবর্তনজনিত কারণে বাড়ছে ঘুর্ণিঝড়। বাড়ছে জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০০৭ সাল থেকে এই উপকূলে সিডর, আইলা, নার্গিস থেকে শুরু করে রেমাল পর্যন্ত ১৫টি ঘুর্নিঝড় হানা দেয়। ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের গ্রাসে থাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মানুষ এখন চরম ঝুঁকিতে থাকছে। প্রধান দুটি কৃষি ও জেলে পেশায় ভয়াবহ সংকটকাল চলছে। বেড়িবাঁধের বাইরের প্রায় ছয় হাজার পরিবার বর্ষা মৌসুমে মাসের ১৫-১৬দিন অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাসছে। তাঁদের বাস উপযোগিতা থাকছে না। লোন্দা বেড়িবাঁধের বাইরের বাসীন্দা হালিমা আয়শা জানান, এবছরের মতো জোয়ারের বেশি পানি আগে কখনো দেখেননি। তাঁদের প্রটেকশনের রিংবেড়িবাঁধ এখন আর কাজে আসছে না। উপচে পানি ঘরে ঢুকছে। অমাবস্য পুর্ণিমায় রান্না বন্ধ থাকে। চুলো পর্যন্ত ডুবে যায়।

কলাপাড়া ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সূত্রে জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড় ছাড়াও শুধু মাত্র তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত থাকায় ২০২১ সালে সাগরে ১১৭দিন জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। তেমনি ২০২২ সালে ১১০ দিন ও ২০২৩ সালে ১১৩ দিন বন্ধ ছিল। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, এবারে ১১জুন ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞার পরে এ পর্যন্ত দেড় মাসে প্রায় ২০দিন সাগর উত্তাল ছিল। ছিল মাছ ধরা বন্ধ। সাগরকে তাদের এবার অচেনা মনে হয়। সাগরের অব্যাহত ভাঙনে কুয়াকাটা সৈকতের দীর্ঘ এলাকার গাছপাপলা সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এমনটা বিগত বছরে দেখা যায়নি বলে মতামত তাঁদের। সাগর ভয়াল উত্তাল থাকায় এখনও মহিপুর-আলীপুরে খাপড়াভাঙা নদীতে সহ¯্রাধিক ট্রলার ঘাটে বাধা রয়েছে।

প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য সারা দেশের মতো উপকূলীয় কলাপাড়ায় উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পাশাপাশি ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। তবে উপজেলা কমিটি দূর্যোগকালীন ছাড়াও ফি মাসে মিটিং করছে। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ের এই কমিটি আছে কাগজে কলমে। পুরা নিষ্ক্রিয় থাকছে। এমনকি ওই কমিটিতে কারা সদস্য তারাও অনেকে জানেন না। তবে দূর্যোগকালীন সিপিপির মাঠ কর্মীদের কার্যক্রম থাকছে চোখে পড়ার মতো। তাঁদের বিভিন্ন মাঠ মহড়াসহ সচেতনামূলক প্রশিক্ষণও চলমান রয়েছে।

ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মূলত ভূমিকা এবং দায়িত্ব হল- স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও ঝুঁকি চিহ্নিত করা। জনগণের মধ্যে ঝুঁকি মোকাবেলা বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা। বার্ষিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (Annual Action Plan) প্রণয়ন; বার্ষিক বাজেট প্রস্তাবনায় ১০% তাদের কর্মপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্তি; দুর্যোগের সময়, আগে ও পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় করা; বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় কাজ করা। তবে এ কমিটি নিষ্ক্রিয়তার কারণ হল- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের অভাব; রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি; প্রশিক্ষণ ও বাজেটের অভাব; নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির অভাব; বার্ষিক পরিকল্পনা থাকলেও তা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে এর বাস্তবায়ন নেই। দুর্যোগকালে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বয়স্ক ব্যক্তিরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারীদের নেতৃত্বের সুযোগ খুবই সীমিত। UDMC-যথাযথভাবে পুনর্গঠন জরুরি। তাই এখনই আর কালক্ষেপণ না করে জলবায়ূর দূর্যোগ এড়াতে সবাইকে কার্যকর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠণ এবং সক্রিয় করতে বিকল্প নেই।

জলবায়ূর পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতি এড়াতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কলাপাড়ার প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কমাতে তারা কলাপাড়ার আটটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের সভা সেমিনার করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে পরিকল্পনা সভা করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আরো সক্রিয় করতে বিভিন্ন্ কৌশল নির্ধরণে একাধিক সভা সেমিনার করা হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে।

পরিবেশ প্রতিবেশ জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নাজমুস সাকিব বলেন,‘ জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় এড়াতে খাল-নদী রক্ষার পাশি প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাঘাতে হবে। কলাপাড়াকে বাঁচাতে হলে এর কোন বিকল্প নেই।, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন কলাপাড়ার কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে কলাপাড়ার যুব ও ছাত্রসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাইলে দ্রুত সফলতা আসবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, জলবায়ূর পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় পুষিয়ে নিতে কৃষি সেক্টরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চলমান রয়েছে কৃষককে উফশী চাষাবাদে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্যক্রম। লবণাক্ত অনবাদী জমিতে লবণ সহিষ্ণু জাতের রবিশস্য, সবজির আবাদে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসীন সাদেক জানান, কলাপাড়ার গোটা উপকূলীয় জনপদ আসলে দূর্যোগের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। তারপরও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো সচল করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বড় বড় দূর্যোগ মোকাবেলায় সফলতা এসেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা ভালো রয়েছে। দূর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসনসহ মানুষের জীবনজীবিকায় সহায়তা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকের জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতনতার বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। মৎস্য সেক্টরে জেলেদের বিকল্প পেশায় পুনর্বাসনে প্রশিক্ষণসহ গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে। ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দূর্যোগকালীন আশ্রয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কুয়াকাটায় দুটি বহুমুখি সুবিধা সংবলিত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানাধীন রয়েছে।

https://channelkhulna.tv/

পরিবেশ ও জলবায়ু আরও সংবাদ

জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় উপকূলে লবণ পানি সহনশীল গাছ লাগান

জলবায়ু পরিবর্তন : ধুলোবালিতে প্রতি বছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু

‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনকে সফল করতে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে’

খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিচ্ছে নতুন দিশা

প্লাস্টিক দূষণ রোধে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে জাতিসংঘ ও বিমসটেক

জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।