
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ রাজত্ব করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ফিল্ডিংয়ে পাঁচ ক্যাচ ধরে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ডের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন তামিম। তামিমময় বিকেলে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি সন্ধ্যার সময় হলেও আজ চট্টগ্রামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হয়েছে দিনের আলোয়। ফিল্ডিংয়ে অর্ধেক কাজ সেরে রাখে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
১১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান গড়েন ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটি। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাইফকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ক্রেগ ইয়াং। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে মিড অনে মার্ক অ্যাডাইরের তালুবন্দী হয়েছেন সাইফ। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক লিটন দাস ৭ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন।
সাইফ-লিটনের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫.২ ওভারে ২ উইকেটে ৪৬ রান। তবে দ্রুত ২ উইকেট হারালেও স্বাগতিকদের ম্যাচ জিততে কোনো অসুবিধা হয়নি। তৃতীয় উইকেটে ৫০ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ১১তম ওভারে গ্যারেথ ডেলানিকে পিটিয়ে একাই ১৭ রান নিয়েছেন তানজিদ তামিম। সেই ওভারে তামিম এক ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার মেরেছেন।
৩৮ বলে তানজিদ তামিম তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ইয়াংকে ছক্কা মেরে তামিম তুলে নেন ফিফটি। সেই ওভারের চতুর্থ বলে ইয়াংকে মিড উইকেট দিয়ে পুল করে চার মেরে বাংলাদেশকে এনে দেন ৮ উইকেটের আয়েশি জয়। ৩৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ইমন ২৬ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর ও ইয়াং একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং। প্রথম ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান করলেও আইরিশরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। সফরকারীরা ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে। সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে অধিনায়ক স্টার্লিংয়ের ব্যাট থেকে। ২৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চার ও ১ ছক্কা। মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। মোস্তাফিজ ৩ ওভারে খরচ করেন ১১ রান। শরীফুল পেয়েছেন ২ উইকেট। শেখ মেহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সিরিজে ৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান।


