সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এডিস মশা: সচেতনতা তৈরিতে বাসাবাড়িতে স্টিকার লাগাবে ডিএনসিসি | চ্যানেল খুলনা

এডিস মশা: সচেতনতা তৈরিতে বাসাবাড়িতে স্টিকার লাগাবে ডিএনসিসি

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ এডিস মশার উপদ্রব ঠেকাতে বাসাবাড়িতে স্টিকার লাগাতে মাঠে নামবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উত্তর ‍সিটির আওতাধীন সব বাসা-বাড়িতে একযোগে চিরুনি অভিযান চালিয়ে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করা, সতর্কতা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্টিকার থেরাপি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন সারাবাংলাকে বলেন, ডিএনসিসির আওতাধিন বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা সেটি যাচাই করতে এরইমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রথমবার কোনোবাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে সেই বাড়ির মালিককে সতর্ক করা হয়। এরপরও সচেতন না হলে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু আমরা মনে করি এটি যথেষ্ট নয়।

স্টিকার থেরাপির পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এবার পরিকল্পনা করছি যাতে একযোগে সকল বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সবাইকে সচেতন করতে পারি। আর এজন্য আমরা যেটি করবো তা হল- যতগুলো বাড়িতে অভিযান চালানো হবে ততগুলো বাড়িতে স্টিকার লাগানো হবে। যে বাড়িতে লার্ভার অস্তিত্বের সন্ধান মিলবে সে বাড়িতে ‘লার্ভা আছে’ এবং যে বাড়িতে লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না ‘লার্ভা নেই’ লেখা সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে দেবো। এতে করে যে বাড়িতে ‘লার্ভা আছে’ স্টিকার থাকবে সে বাড়ির মালিক সতর্ক হবে এবং যে বাড়িতে ‘লাভা নেই’ স্টিকার থাকবে সে বাড়ির মালিক আরও সচেতন হবে। আর এভাবেই আমরা সকলের সম্মিলত প্রচেষ্টায় এডিসের উপদ্রব মোকাবিলা করতে পারবো।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্টিকার থেরাপির এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে এরইমধ্যে সকল পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমনকি অভিযানের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগে ভাগ করে আবার সেই ১০টির প্রতিটিকেও ১০ ভাগে ভাগ করে জনবল কাঠামো সাজানোর কাজও প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন তারা। তাই সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ আগষ্ট থেকেই ‘এ বাড়িতে/স্থাপনায় এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে’ লেখার স্টিকার থেরাপি নিয়ে মাঠে নামবে অভিযানের টিম। আর গঠিত এ টিমগুলোর অভিযান ডিএনসিসির আওতাধীন প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বাসা-বাড়িতে পারিচালিত হবে। তবে কতদিন ধরে অভিযান পরিচালিত হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেন নি কেউ।
‘স্টিকার লাগানোর অভিযান নিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে যে পরিকল্পনা করেছি সেটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন আমাদের জনবলের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। সংস্থায় পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় এরইমধ্যে অন্যান্য সংস্থা থেকে জনবলের সংকট নিরসন করা হয়েছে এ অভিযান পরিচালনার জন্য। তাই হয়তো প্রতিটি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনার জন্য ১০০ জন করে জনবল থাকবে। তবে সেটি যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কালকের মধ্যে চূড়ান্ত হলে ১৮ তারিখ থেকেই কার্যক্রম শুরু হবে’- বলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। পরিকল্পনা শেষ হলে চূড়ান্তভাবে বিস্তারিত সব তথ্য কালকে জানাবো।

তবে মশা নিধনে মূল কাজটি না করে এমন কার্যক্রমে সফলতার লক্ষণ দেখছেন না। উল্টো হাস্যকর মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলছেন, যেখানে ঠিক মত মশার ওষুধ ছিটানোর মত লোক নেই, সেখানে প্রতিটি বাড়িতে অভিযান চালানোটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। একই মত নগরবাসীর।

রাজধানীর একটি কলেজের অধ্যাপক এবং মিরপুর-২ এর বাসিন্দা আমজাদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, যখন কোনো বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয় তখন সিটি করপোরেশন নাগরিকদের ঘাড়ে সে দোষ চাপায়। আর তখনি নাগরিকদের সচেতন করতে নানা কার্যক্রম হাতে নেয়। কিন্তু যে কাজ তাদের করার কথা সে কাজটি তারা ঠিকমত করছে কিনা সে দিকে খেয়াল নেই। তারা ঠিকমত মশার ওষুধ ছিটাতে পারে না, জনবল নেই বলে দায় সারে। কিন্তু যখন জনগনকে সচেতন করতে নানান অভিযান পরিচালনার কথা বলে তখন জনবলের অভাব হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ ও অধিকার কর্মী ইকবাল হাবীব সারাবাংলাকে বলেন,
এ পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। এতে মানুষ অন্তত সচেতন হবে। কিন্তু ডিএনসিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে এটি তো এক ধরণের লোক দেখানো। কারণ তাদের তো ওই পরিমাণ জনবল নেই যে অভিযান পরিচালনা করবে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি। এতে যা হবে- অভিযান শুরুর কয়েকদিন পর দেখা যাবে অনেক বাড়িতে স্টিকার নেই। তখন যদি ডিএনসিসিকে প্রশ্ন করা হয় এ বাড়িতে স্টিকার নেই কেনো, তখন তারা কি উত্তর দিবে?

তিনি আরও বলেন, কাজেই যেখানে জনবল সংকট সেখানে এমন উদ্যোগ হাস্যকর বটে। সুতরাং উপলক্ষ কেন্দ্রিক কার্যক্রম না নিয়ে বরং বছরব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব স্থান পরিত্যক্ত এবং সরকারি স্থাপনা, যেগুলোকে জনগণ নিজেদের মনে করে না আপাতত সেসব স্থানে নজর দেওয়া উচিত। কারণ সেসব স্থানে সৃষ্ট মশাগুলো নিরাপদ কিংবা সচেতন বাড়ির লোকদের আক্রান্ত করবে।

https://channelkhulna.tv/

রাজধানী আরও সংবাদ

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

পতিত সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি : এড. নিতাই রায় চৌধুরী

পদত্যাগ করলেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান

প্রতিশোধ নয়, সবাই মিলে দেশকে গড়ে তুলতে হবে: খালেদা জিয়া

গণভবনের ভেতরে অগ্নিসংযোগ

আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আগুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ভাঙচুর

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।